গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়

আজকে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা।এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যার মূল কারণ হল অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ, যা পাকস্থলীতে গ্যাস, অম্বল, পেটের ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি উপসর্গের সৃষ্টি করে।

যেহেতু এটি একটি খুব সাধারণ সমস্যা, তাই এ থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে রাখা দরকার। আমরা এখন এই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার প্রতিদিনের জীবনে খুব সহজেই অনুসরণ করা যায়।

 

Contents

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিক খুবই সাধারন একটা সমস্যা। অধিকাংশ মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভোগেন। তাই সবসময়ই ডাক্তারের কাছে যাওয়াটাও সম্ভব হয়না। এজন্য আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা দরকার। চলুন জেনে নেই-

 

আদা চা খেতে পারেন

আদা তার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য পরিচিত, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। আদা পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে এটি অন্যতম।

খাওয়ার নিয়ম: এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি আদা কুচি মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট ফোটান। তারপর এটি ছেঁকে চা হিসেবে পান করুন। আদার এই চা পাকস্থলীর প্রদাহ কমিয়ে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে আরাম দেয়। আপনি চাইলে একটু মধু যোগ করতে পারেন, যা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বেশ উপকারী।

 

ঠান্ডা দুধ খেতে হবে

দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি কমিয়ে দেয় এবং এসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কমায়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়ের এটিও একটি ভালো মাধ্যম।

খাওয়ার নিয়ম :গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ ধীরে ধীরে পান করুন। এটি পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং বুক জ্বালাপোড়া কমায়। তবে মনে রাখবেন, যদি আপনার দুধে অ্যালার্জি থাকে বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলুন।

 

জিরা পানি পান করুন

জিরা একটি শক্তিশালী মশলা যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি পাকস্থলীর গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে। এটি পাকস্থলীতে খাদ্য হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমের উৎপাদন বাড়ায় এবং বর্জ্য দ্রুত শরীর থেকে বের করে দেয়।

খাওয়ার নিয়ম : ১ চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করুন। এই পানি দিনে ২-৩ বার পান করুন। এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিসালী করবে এবং গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ কমায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়ের এটি একটি ভালো মাধ্যমে।

 

খেতে পারেন তুলসী পাতা

তুলসী পাতা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায্য করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য বেশ  কার্যকর।গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে এটি বেশ কার্যকরী।

খাওয়ার নিয়ম : ৪-৫টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা এক কাপ পানিতে তুলসী পাতা ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এটি পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং হজমে সহায়তা করবে।

 

সজনে পাতার রস খেতে হবে

সজনে পাতা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পাকস্থলীর জন্য বেশ উপকারী। এটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর ইনফ্ল্যামেশন কমায়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে একটি হলো সজনে পাতার রস খাওয়া।

খাওয়ার নিয়ম : কিছু তাজা সজনে পাতা ভালো করে ধুয়ে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে সজনে পাতার রস খেতে পারেন। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য খুবই কার্যকর।

 

মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন

মধু ও লেবুর মিশ্রণ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে।

খাওয়ার নিয়ম : এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি সকালে খালি পেটে পান করলে বেশি কার্যকর। এটি হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে।

 

গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় দই খেতে পারেন

দই একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক যা পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করে দেয়।

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন এক কাপ টাটকা দই খান। এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে।

 

পুদিনা পাতা গ্যাস্ট্রিক দুর করে 

পুদিনা পাতা পাকস্থলীর অতিরিক্ত গ্যাস এবং অম্বল কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা মেনথল পাকস্থলীতে অ্যাসিড নিঃসরণ কমায় এবং পাকস্থলীর মাংসপেশি শিথিল করে।

খাওয়ার নিয়ম : পুদিনা পাতা চিবাতে পারেন অথবা পুদিনা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এটি হজমের উন্নতি করবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে।

 

 খাবারের নিয়মাবলী মেনে চলবেন

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো খাবার খাওয়ার সময় এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমানোর জন্য কিছু নিয়মাবলী মেনে চলা উচিত:

  • দিনে অল্প অল্প পরিমানে খাবার খান এবং বেশি খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন।
  • চর্বিজাতীয় এবং মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না, বরং হাঁটাহাঁটি করুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করবেন।

 

আরও পড়ুন > করলার উপকারিতা ও অপকারিতা

 

এবার আপনাদের গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে একদম পুর্নাঙ্গ ধারনা দিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো। এগুলো একদম মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করে পড়বেন। আশা করি অনেক কিছুর উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন শুরু করি-

 

গ্যাস্ট্রিক দুর করার খাবার

গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য ১০টি উপকারী খাবার হলো:

 

  • 1. দই
  • 2. কলা
  • 3. ওটস
  • 4. আদা
  • 5. ক্যামোমাইল চা
  • 6. শসা
  • 7. পেঁপে
  • 8. মধু
  • 9. সবুজ শাকসবজি
  • 10. বাদামি চাল বা ব্রাউন রাইস ইত্যাদি।

এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে।

 

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দুর করার উপায়

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, অতিরিক্ত ঝাল-চর্বি এড়িয়ে চলুন, সময়মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, প্রচুর পানি পান করুন, এবং ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।

 

গ্যাস্ট্রিক দুর করার ব্যায়াম

নিচে গ্যাস্ট্রিক দুর করার জন্য কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম দেওয়া হলো। এগুলো খুব সহজেই আপনি নিজ ঘরে করতে পারবেন।

 

. পবনমুক্তাসন

পদ্ধতি:  মাটিতে শুয়ে দুই পা সোজা রাখুন। একটি পা ভাঁজ করে হাঁটুকে বুকের কাছে আনুন এবং দুই হাত দিয়ে ধরে রাখুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং অন্য পায়ের জন্য পুনরাবৃত্তি করুন।

উপকারিতা: পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমায়।

 

 ২. বজ্রাসন

পদ্ধতি: হাঁটু মুড়ে পায়ের ওপর বসুন। ৫-১০ মিনিট এভাবে বসে থাকুন।

উপকারিতা: হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস কমায়।

 

৩. উত্তানপাদাসন

পদ্ধতি: মাটিতে শুয়ে দুই পা সোজা রাখুন। পা দুটো ৩০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে তুলে ধরুন। ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং পুনরাবৃত্তি করুন।

উপকারিতা:পেটের পেশী শক্তিশালী করে ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

 

 ৪. কপালভাতি প্রানায়াম

পদ্ধতি: সোজা হয়ে বসুন। দ্রুত শ্বাস ছাড়ার মাধ্যমে পেটকে সংকুচিত করুন। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করুন।

উপকারিতা: শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ও হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

 

৫. ধনুরাসন

পদ্ধতি: মাটিতে পেটের উপর শুয়ে থাকুন। পা ভাঁজ করে পেছনে নিয়ে যান এবং হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরুন। শরীরটিকে ধনুকের মতো আকার দিন। ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।

উপকারিতা:হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও গ্যাস সমস্যা কমায়।

বি.দ্র: উপরের ব্যায়ামগুলো ভালোভাবে বুঝতে youtube এ ব্যায়ামের নামগুলো লিখে সার্স করুন। অসংখ্য ভিডিও পেয়ে যাবেন।

 

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলি সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলি গ্যাস্ট্রিক হলে এড়িয়ে চলাই উত্তম। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার একটি ভালো উপায়-

মশলাদার খাবার: খুব ঝাল বা মশলাদার খাবার, যেমন ভাজা, মসলাযুক্ত তরকারি খাওয়া যাবেনা।

ফাস্ট ফুড: বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিজ্জা ইত্যাদি।

 ফ্যাটযুক্ত খাবার:তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার, যেমন ভাজা, চপ ইত্যাদি।

ক্যাফেইন ও কফি:  চা, কফি, সোডা, এবং অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়।

অ্যালকোহল: মদ ও অন্যান্য অ্যালকোহলিক পানীয়।

 মিষ্টি ও ডেজার্ট: চকলেট, কেক, কুকি ইত্যাদি।

 পেঁয়াজ ও রসুন: এগুলি হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বিনস ও কোষ্ঠকাঠিন্যকারক খাবার: মটরশুটি, সিম ইত্যাদি।

এছাড়া, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, চর্বিযুক্ত খাবার, এবং রাতের খাবার খুব দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দুর করতে উপরোক্ত খাবারগুলি এড়িয়ে চলবো।

 

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

 

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার জন্য:

1. ওষুধ ব্যবহার করুন:

  • অ্যান্টাসিডস, PPIs (যেমন ওমেপ্রাজোল), এইচ২ ব্লকারস।
  • তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে!

2. ডায়েট পরিবর্তন করবেন:

  •    মসলা ও তেলযুক্ত খাবার কমিয়ে ফেলুন।
  •    পেঁয়াজ, রসুন, টক ফল এড়িয়ে চলুন।
  •    অল্প অল্প খাবার খান, দিনে ৫-৬ বার।

3. লাইফস্টাইল পরিবর্তন করুন:

  •    ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
  •    স্ট্রেস কমান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

5. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

  •    বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

 

গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষন বা গ্যাসের সমস্যার লক্ষন

গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে পেটের উপরের অংশে জ্বালাপোড়া, বুকের মাঝে এসিড রিফ্লাক্স, গ্যাস ও ফোলাভাব, বমি বা বমি ভাব, এবং মাথা ব্যথা। এছাড়া, খাবার পরে ক্লান্তি বা মাথা ঘোরা অনুভূতি হতে পারে। এসব লক্ষণ যদি নিয়মিত দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

এবার আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ FAQ দেওয়া হলো।মনোযোগ দিয়ে এসব প্রশ্নোত্তরগুলো পড়ে ফেলুন।আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

গ্যাস্ট্রিক হলে কি মাথা ঘুরায়?

হ্যাঁ, গ্যাস্ট্রিক হলে মাথা ঘোরাতে পারে। এটি সাধারণত পেটের অসস্তি ও গ্যাসের কারণে ঘটে। নিয়মিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

গ্যাস্ট্রিক হলে কি শ্বাসকষ্ট হয়?

গ্যাস্ট্রিক হলে সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয় না, তবে গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকের মাঝের জ্বালাপোড়া কখনও কখনও শ্বাসকষ্টের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। যদি শ্বাসকষ্ট মারাত্মক বা নিয়মিত হয়, তাহলে এটি অন্য কোনো সমস্যার সঙ্কেত হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

গ্যাস্ট্রিক হলে দুধ খাওয়া যাবে?

গ্যাস্ট্রিক হলে দুধ খাওয়া কিছু লোকের জন্য উপকারি হতে পারে, কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে। তাই ব্যাক্তিগত প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

 

আরও পড়ুন > পাকা পেঁপের উপকারিতা

 

উপসংহার

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়সহ আরো নানা বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য আমাদের দেহের পুষ্টি এবং জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস দায়ী হতে পারে। এ থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।

উপরোক্ত ঘরোয়া উপায়গুলি সহজেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলা যায় এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া উপায়গুলি চেষ্টা করে দেখুন এবং সুস্থ থাকুন!

Leave a Comment